National Scholarship

UGC Scholarship and Fellowship

আমাদের মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার দানকৃত অর্থ সরাসরি ইসলামী শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর জন্য  শিক্ষা বৃত্তি ও ইসলামী প্রতিষ্ঠান যেমন এতিমখানা, মসজিদ ও মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য আর্থিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনা করা। আমরা বাংলাদেশের সকল অঞ্চলের এতিম, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে, তার সুবিধামত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত করে শিক্ষার নিশ্চয়তা করে থাকি। এই ক্ষেত্রে আমরা প্রথমত একজনকে পবিত্র কোরআনে হাফেজ হওয়ার জন্য অগ্রাধিকার প্রদান করে থাকি। তবে মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রেও শিক্ষা বৃত্তি ও অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়াও যে সকল এতিমখানা, মসজিদ ও মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন সে সকল প্রতিষ্ঠানকে সহায়তার ব্যবস্থা করা।   আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সহায়তা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীদের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করা, ফলে উভয়ই জানতে পারবে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধরণ ও প্রকৃতি। আমরা সহায়তা প্রদানকারীর অর্থ কখনো এই প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রহণ করি না। আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী আমাদের ডাটাবেস থেকে তার পছন্দমত মনোনীত করতে পারবেন তার এককালীন, স্বল্প মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি অনুদানের ধরণ ও প্রকৃতি।

Our fundamental objective is to coordinate and manage the money that you would like to donate directly to the field of Islamic education for the development of scholarships for students and Islamic institutions such as orphanages, mosques and madrasas. We ensure education by identifying orphans, helpless, disadvantaged and poor students in all regions of Bangladesh and connecting them with educational institutions at their convenience. In this case, we first give priority to one to become Hafez in the Holy Qur’an. However, scholarships and grants are also provided for madrasa education. Moreover, to provide assistance to all the institutions that need financial assistance for the development of orphanages, mosques and madrasas. Our duty is to establish a connection between the donor and the recipient, so that both can know the type and nature of financial management. We never accept donor money in the name of this organization. Financial aid providers will be able to select the type and nature of their one-time, short-term and long-term grants from our database.

যাকাত

মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামী অর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যক্তি, সমাজ ও  থেকে  রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কথা উল্লেখ করেছেন, যা আমরা সকল মুসলিম সমাজই জানি, যেমন যাকাত, সদকা, দান ও খয়রাত। মহান আল্লাহ্পাক যাকাত শব্দটি ব্যবহার করেছেন ( সূরা ও আয়াত ২: ৪৩, ৮৩, ১০০, ১৭৭, ২৭৭; ৪: ৭৭, ১৬২; ৫: ১২, ৫৫;  ৭; ১৫৬; ৯: ৫, ১১, ১৮, ৭১; ১৯:৩১; ২১: ৭৩; ২২: ৪১, ৭৮; ২৩: ৪; ২৪: ৩৭, ৫৬; ২৭: ৩; ৩০: ৩৯; ৩১:৪ ; ৩৩: ৩৩; ৪১: ৭; ৫৮: ১৩; ৭৩: ২০; ৯৮:৫) । আমরা সূরা (৫৮): মুজাদালাহ আয়াত ১২ ও ১৩ পড়লেই বুঝতে পারি যাকাত ও সদকা ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে যেমন :

হে মুমিনগণ! তোমরা রসূলের কাছে চুপি চুপি কথা বলতে চাইলে তৎপূর্বে সদকা প্রদান করবে। এটা তোমাদের জন্যে শ্রেয়ঃ ও পবিত্র হওয়ার ভাল উপায়। যদি তাতে সক্ষম না হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [ সুরা মুজাদালাহ ৫৮:১২ ]

যদি তোমরা  চুপি চুপি কথা বলার পূর্বে সদকা প্রদান করা কষ্টকর মনে কর  অতঃপর তোমরা যখন সদকা দিতে পারলে না এবং আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করে দিলেন তখন তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য কর। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর। [ সুরা মুজাদালাহ ৫৮:১৩ ]

বর্তমানে ইসলামে ছোট-খাট কিছু ব্যাপার নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব ও যাকাত বাধ্যতামূলক সে সম্পর্কেই ইসলামের কোন শাখাতেই বিভ্রান্তি নেই। হজ্জ্ব নিয়ে এখনও কোন মত পার্থক্য নেই, তবে নামাজ, রোজা ও যাকাত স্থান ও  কাল ভেদে মতাদর্শন অনুযায়ী হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ্পাক বলেছেন :

আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। [ সুরা বাকারা ২:৪৩ ]

আমি ইসলামের যে শাখাতেই বিশ্বাসী ও পালনকারী হই না কেন, যাকাত আমার জন্য অবশ্যই বাধ্যতামূলক এবং আমি বাংলদেশের একজন নাগরিক হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ স্বাধীন, আমার যাকাত আমি যাকে খুশি তাকেই দিতে পারি। আমাদের প্রচেষ্টা আমরা যেন আমাদের যাকাত, সদকা, দান ও খয়রাতগুলি সঠিক যায়গায় প্রদান করে  ইসলামের প্রসার ঘটাতে পারি সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সদকা

আমাদের দেশে ঈদুল আজহার সময় যে হারে কোরবানীর প্রচলন দেখা যায়, সেই অনুপাতে সদকার প্রচলন নিতান্তই কম। মহান আল্লাহ সদকা সম্পর্কে বলেছেন পবিত্র কোরানের বিভিন্ন যায়গায় এই সদকা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে বলেছেন (সূরা ও আয়াত  ২ : ১৯৬; ৯ : ৫৮, ৬০; ৭৫, ৭৯, ১০৩-১০৪; ৫৮ : ১২-১৩; ৬৩ : ১০) ।

আমরা একটি আয়াতের মাধ্যমেই বুঝতে পারি এর গুরুত্ত্ব যেমন:

” আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।” [ সুরা মুনাফিক্বুন ৬৩:১০ ]

আর আল্লাহ্পাক সদকা যাদের দেওয়া হবে তাদের নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যেমন:

“সাদকা হল কেবলমাত্র ফকির, মিসকীন, আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদে হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।“ [ সুরা তাওবা ৯:৬০ ]

দান-খয়রাত

যাকাত ও সদকা ছাড়াও মহান আল্লাহ আমাদের জন্য দান-খয়রাত সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক দান-খয়রাত দান-খয়রাত সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে বলেছেন (সূরা ও আয়াত ২: ৩, ১৭৭, ১৮৪, ২৭১-২৭৪, ২৭৬; ৪: ১১৪; ৫: ৮৯, ৯৫; ১৬: ৭৫; ২৩: ৬০; ২৪: ৩৩; ৩২: ১৬; ৩৩: ৩৫; ৫৩: ৩৪; ৭৪: ৬, ৪৪; ৭৬: ৮-৯)। আমরা নিচের আয়াটির দিকে লক্ষ করলে স্পষ্ট দেখতে পাব, যাকাত নামাজের মত বাধ্যতামূলক এবং দান-খয়রাত হচ্ছে মুত্তাকী লোকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং করা এই দান-খয়রাত করা হকদার তাও ষ্পষ্ট করে দিয়েছেন।

“পূর্ব পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুন্য নাই, কিন্তু পুন্য আছে কেহ আল্লাহ, পরকাল, ফিরিশতাগণ, সমস্ত কিতাব, এবং নবীগনে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহর প্রেমে আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থীগণ এবং দাস মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, সালাত কায়েম করিলে ও যাকাত প্রদান করিলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়া তাহা পূর্ণ করিলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে  ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী। ” [ সুরা বাকারা ২:১৭৭ ]

ভিন্ন আয়াতে এই দান-খয়রাতের পন্থাও আমাদের বলে দিয়েছেন যেমন:

“যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খুব খবর রাখেন।” [ সুরা বাকারা ২:২৭১ ]

এই দান খয়রাত করার ক্ষেত্রে সলা-পরামর্শ করার কথাও বলা হয়েছে যেমন :

“তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভাল নয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধিস্থাপন কল্পে করতো তা স্বতন্ত্র। যে একাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমি তাকে বিরাট ছওয়াব দান করব।” [ সুরা নিসা ৪:১১৪ ]

আমাদের কর্তব্য

আমরা আপনার যাকাত, সদকা ও দান-খয়রাত  পবিত্র কোরানের বর্ণিত সুনির্দিষ্ট উপায়ে  বন্টন ব্যবস্থাপনা করে থাকি যা এই ফিতনার যুগে যেন কোন প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে।

যাকাত, সদকা, দান ও খয়রাতের  খাত

পবিত্র কোরানের উপরোক্ত আয়াতগুলি ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে যে সকল খাতকে ইসলামে   যাকাত, সদকা ও  দান-খয়রাত দেয়ার বিধান সর্বজন স্বীকৃত। যেমন –

আত্মীয়-স্বজন: আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যদি এমন কেউ থাকে যাদের আপনার যাকাত, সদকা ও  দান-খয়রাত প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন অর্থাৎ সেখানেই রয়েছে এতিম, মিসকিন ও গরিব তা হলে আপনাকে তাদের জন্যই দেওয়ার বিধান এবং আপনাকে সে ভাবেই বন্টন করতে হবে। এই ধরণের বন্টন ব্যবস্থাপনা আপনি নিজ দায়িত্বেই করে নিবেন।

পিতৃহীন (এতিম): আমরা সবাই জানি ইসলামে পিতৃহীনদের (এতিম) প্রতি বিশেষভাবে গুরত্ত্ব দিয়েছে। তাই আমাদের অন্যতম দায়িত্ত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশের অবহেলিত পিতৃহীনদের ইসলামী শিক্ষায় প্রথমত একজনকে পবিত্র কোরআনে হাফেজ হইতে সহায়তা করা। আপনার যাকাত, সদকা, দান ও খয়রাত এবং আমাদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই পথকে সহজ করতে পারে।

গরীব : যার সম্পদ আছে কিন্তু নেসাব পরিমাণ (অর্থাৎ যাকাত ফরয হওয়ার পরিমান) মালের মালিক নয়। তাই আপনি একজন গরিব মানুষকে যাকাত দিতে পারেন। আর আমরা আপনার এই যাকাতের অর্থ একজন গরীব সন্তানের জন্য ইসলামী শিক্ষা বিশেষ করে একজনকে পবিত্র কোরআনে হাফেজ তৈরিতে দীঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার যোগসূত্র তৈরী করতে সর্বাত্মক সহায়তা করে থাকি।

ফকির-মিসকীন:  সাধারণ অর্থে আমরা বুঝি গরিব ঐ ব্যক্তিকে বলে যার অর্থ সম্পদ রয়েছে কিন্ত যাকাত ফরয হওয়ার মতো অর্থ সম্পদ যার কাছে নেই। আর ফকির-মিসকিন ঐ ব্যক্তি যার কাছে একবেলা খাওয়ার মতো সামর্থ্যও নেই। আমাদের দেশে এই শ্রেণীর সংখ্যা নিতান্তই কম নহে। আপনার যাকাত, সদকা, দান ও খয়রাত এবং আমাদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই শ্রেণীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষা ও স্থায়ী আর্থিক সচ্ছলতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

এখানে উল্লেখ যে অন্যান্য যাদের কথা বলা হয়েছে যেমন মুসাফীর, সাহায্যপ্রার্থীগণ,  আদায় কারী, ঋণগ্রস্ত, জেহাদকারী, এবং দাস মুক্তির জন্য। আমরা এই সকল খাতের কোন একটির সাথে সম্পৃক্ত নই। এমনকি আমরা আপনার যাকাত, সদকা, দান ও খয়রাতের  খাত আদায়কারীও নই। আমরা যে ব্যাবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত তাতে যতটুকু অর্থ খরচ হয় তা আমাদের নিজের তহবিল থেকেই ব্যয় করে থাকি।

Translate »